শুরু হলো বাঙালির বিজয়ের মাস ডিসেম্বর। দীর্ঘ ৯ মাস যুদ্ধের পর ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়। স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা শেখ মুজিবর রহমানের নেতৃত্বে বাঙালি জাতি নিজস্ব মানচিত্রের একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ পায়।
১৯৭১ সালের ১লা ডিসেম্বর। এদিন মুক্তিবাহিনী সিলেটের শমসেরনগরে আক্রমণ চালিয়ে টেংরাটিলা ও দুয়ারাবাজার শত্রুমুক্ত করে। একাত্তরের ডিসেম্বর মাস থেকেই মুক্তিপাগল বাঙালিরা বুঝতে পারে তাদের বিজয় সুনিশ্চিত। ডিসেম্বরের শুরুতেই মুক্তিযুদ্ধ সারাদেশে সর্বাত্মক রুপ নেয়। ডিসেম্বরের শুরুতেও চলতে থাকে মুক্তিবাহিনীর গেরিলা হামলা। একে একে মুক্ত হতে থাকে দেশের বিভিন্ন জায়গা। মুক্তিযোদ্ধাদের প্রবল আক্রমণের মুখে পাকিস্তানি বাহিনী পিছু হটতে বাধ্য হয়। শত্রুমুক্ত ঘোষণার পরও মুক্তিবাহিনীর অপারেশন চলতে থাকায় পাকিস্তানি সৈন্যরা সিলেটের গারা,আলীরগাঁও এবং পিরিজপুর থেকে ব্যারাক গুটিয়ে নেয়। তবে রাওয়ালপিন্ডিতে এক মুখপাত্র শেখ মুজিবুর রহমানের বিচার শেষ হয়নি বলে বিবৃতি দেন।
এই দিনে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী পার্লামেন্টের বক্তৃতায় উপমহাদেশে শান্তি প্রতিষ্ঠার স্বার্থে বাংলাদেশ থেকে পাকিস্তানি সৈন্য অপসারণের জন্য ইয়াহিয়া খানের প্রতি আহবান জানান।
এসময়ও তৎপর ছিল স্বাধীনতা বিরোধীরা। জামায়াতে ইসলামী শীর্ষনেতা গোলাম আজম বৈঠক করেছিলেন ইয়াহিয়া খানের সঙ্গে। তিনি পূর্ব পাকিস্তান থেকে প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিয়োগের দাবিটিও তুলেছিলেন। গোলাম আজম কমিউনিস্টদের অপতৎপরতা সম্পর্কে সবাইকে সতর্ক থাকতে বলেন। এছাড়া মিত্রপক্ষ ভারতের হামলার প্রতিবাদে খুলনায় হরতাল পালন করেন শান্তি কমিটির সদস্যরা।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস